অনলাইন ডেস্ক ঃ কুকুরের উপদ্রবে আতঙ্কে আছেন শহরের শিশু ও বিভিন্ন বয়সী মানুষ। তবে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে।
শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুর অস্বাভাবিকভাবে ঘুরতে দেখা যায় প্রতিদিন। কুকুরের উগ্রভাব দেখে মনে হয়, যে কোনও মুহূর্তে যে কাউকে কামড় দিতে পারে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে ডাস্টবিন ও রাস্তার ওপরে ময়লা আবর্জনা জমে থাকে। সেখানে দল বেঁধে আসছে বেওয়ারিশ কুকুর।
প্রায়ই স্কুলগামী কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সি মানুষকে কুকুরের দল ধাওয়া করে। এর মধ্যে কাউকে কাউকে কামড় ও বসিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে বা আঁচড়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ জন শুধু নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। সরকারি হাসপাতালে রোগীর পরিসংখ্যান পাওয়া গেলেও বেসরকারি কিছু হাসপাতালেও জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়। তবে তারা এর হিসাব সংরক্ষণ করে না।
কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেলে সাধারণত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো তা নিধন করত। কিন্তু অমানবিক হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সাল থেকে সারা দেশে কুকুর নিধন বন্ধ আছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কুকুর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও কুকুরের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। বেড়েছে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তের সংখ্যাও। কুকুরের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়বে। তাই কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
সৈয়দপুর থেকে আসা সায়লা ইসলাম বললেন, তাঁর বাচ্চা স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (মেডিক্যাল অফিসার) ডা. শেখ মোস্তফা আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে কথা বলতে হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অন্তত মৌখিক অনুমতি হলেও লাগবে। তাই তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান খান বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গা হতে কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা আমাদের এখানে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি এর কারন হচ্ছে বড়রা কুকুরের ধাওয়া খেয়ে বেঁচে আসতে পারলেও বাচ্চারা পারে না। এই আক্রান্তের সংখ্যা রোধ করতে হলে কুকুরদেরকে ব্যাকসিন দেয়া হলে ক্ষতি একটু কম হবে। বেশ কয়েক বছর আগে কুকুরদের ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।